
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ দ্বীপ জেলা ভোলা চরফ্যাশন উপজেলার দুলারহাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার বয়স ৪১বছর হলেও নির্মাণ করা হয়নি মহিলা শিক্ষিকাদের জন্যে নামাজের ঘর।
১৯৮৪সালে মাদ্রাসার কার্যক্রম শুরু হলেও মহিলা মাদ্রাসা হিসেবে মহিলা শিক্ষিকাদের অগ্রাধিকার থাকার কথা থাকলেও মহিলা শিক্ষিকাদের জন্যে নেই পৃথক কোন নামাজের স্থান এবং স্বৌচাগার, শিক্ষিকারা জানায় ৪১টি বছর মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বারবার বলে আসলেও সাবেক প্রধান শিক্ষক মাওলানা নূরুল ইসলাম তার কোন পাত্তাই দেয়নি, তারা আশা করেছিলেন সাবেক প্রধান শিক্ষকের চাকরির মেয়াদ শেষ হলে নতুন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হলে তাদের যৌক্তিক দাবিটি পূরণ হবে, কিন্তু নতুন প্রধান শিক্ষক মাওলানা আবুল কালাম ২০১৬সালে দুলারহাট মহিলা দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিযুক্ত হন। প্রধান শিক্ষকের চাকরির মেয়াদ প্রায় ৯বছর অতিবাহিত হলেও আজ অবধি তৈরি করা হলোনা মহিলা শিক্ষিকাদের জন্যে পৃথক নামাজের ঘর এবং স্বৌচাগার।
প্রধান শিক্ষক আবুল কালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন নামাজের ঘর তৈরি করার কাজ চলছে, আর্থিক সংকটের কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে, মাদ্রাসার তহবিলের ব্যাপের জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক জানান তহবিলে যে অর্থ জমা ছিল তা এবতেদায়ী মাদ্রাসার শ্রেণী কক্ষের ফ্লোর পাকা করনের কাজে ব্যয় করা হয়েছে। শিঘ্রই আর্থিক সচ্ছলতা ফিরে এলে কাজ শুরু করা হবে।
নামাজের স্থানের ও স্বৌচাগার নির্মাণের ব্যাপারে নব গঠিত সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর এর সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন আমি সভাপতি হওয়ার পরবর্তিতে দেখি এবতেদায়ী মাদ্রাসার শ্রেণী কক্ষে নিচে মাটি থাকায় আবহাওয়া একটু খারাপ হলেই বাতাসে ধুলাবালি এসে ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটায় তাই প্রথমেই সেই শ্রেণী কক্ষ গুলোর ফ্লোর পাকা করার কাজ হাতেনেই, কাজ সম্পন্ন করতে যে অর্থের প্রয়োজন ছিল সে পরিমান অর্থ মাদ্রাসার তহবিলে না থাকায় বাকি অর্থ আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে দিয়ে কাজ সম্পন্ন করি। আগামীতে মাদ্রাসার জন্যে কোন প্রকার সহযোগীতা অনুমোদন হলে বাকি কাজ গুলো সম্পন্ন করবো বলে জানান তিনি।
Leave a Reply