
#ইচ্ছা হয় মিছিলে যাই#
–শরীফুল ইসলাম শরীফ-
মোটা পাওয়ারের চশমা তাই কিছুই বলি না,
বয়সী চোখ ও কানে শুনি দেশের মানুষের খুব কষ্ট।
চশমার মোটা ফ্রেমে দেখি কাল কালান্তরে দুঃখ ,
নিদারুণ কষ্টে জমা ঘাম-শ্রম আর অভূক্ত শিশু।
নিম্ন মধ্যবৃত্ত যুবকের মুখের চামড়া ঘোঁচানো,
ললাটে চিন্তার ভাঁজ আর কাজ না পাওয়া হতাশা।
ধুলামাখা শরীরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা উদ্ধাস্ত —
শীর্নকায় উলোঙ্গ শিশুর বুকের হাড় চেয়ে থাকে,
চেয়ে থাকে অসহায় নর-নারীর চোখ ও অভুক্ত পেট।
মাঝেমধ্যে মনে হয় আর নয়, বাঁশের লাঠি হাতে
রাজ পথে নামি, মিছিলে ভাঙচুর বিদ্রোহ করি।
না হয় শক্ত চোয়ালে কামড়িয়ে দেই নেতা নেত্রীর,
দামী প্রসাধনী মাখা মাংসলবহ মুখোশ পড়া মুখ।
রাগে দুঃখে ইচ্ছা করে মানচিত্র সহ রাস্তা ঘাট,
সব কিছু উপরিয়ে ফেলি আবর্জনা ধূলাবালি ভেবে।
দেশের সব আমলা,মন্ত্রী,নেতানেত্রী থেকে শুরু করে;
ভোট চোর ডাকাত ও লেবাসধারী নারী লোভীদের,
বাড়ীঘর বউ বাচ্চাদের চলাফেরায় শক্ত হরতাল ডাকি।
কিন্তু আমার সাহস থাকলেও সেই শক্তি নেই আজ।
খাবার না পেয়ে পেয়ে হাড়মজ্জা শীর্নকায় সুয়ে থাকি-
আমার তো ভোট দিবার অধিকার ক্ষমতা দুই-ই নেই।
নেই খাদ্যবস্ত্র বাসস্থান সহ প্রতিবাদের অধিকার গুলো।
আমাকে ওরা রক্তচক্ষু চোখে শাসিয়ে যায় দিনরাত,
কন্ঠ ছেড়ে প্রতিবাদ করলেই গুম খুন আর মামলা।
তাই আমি অভুক্তপেটে তক্তাপোষর উপরে সুয়েই থাকি,
দেখি তাদের ভালো থাকা আর ভালো খাওয়া পড়া।
আমি দেখি সব সুবিধায় গড়েছে তারা আলিশান বাড়ী,
আর সুইচ ব্যাংকে হাজার হাজার কোটি টাকার কাঁড়ি।
যত্রতত্র রাস্তায় হাঁকায় অতি অহংকারে —
বিএমডব্লিউ মার্সিডিজ-প্রাডো-ইনফিনিটি গাড়ী।
ফ্যাসিস্টরা আমাদের রক্তের দামে তেল কেনে,
হাড় মজ্জা ক্যালসিয়াম রাস্তায় মাখি।
দিন রাত এগুলো দেখি আর চোখ বন্ধ করে সুয়ে থাকি।
এখন আর সহ্য হয় না তাই আমি আড়মোড়া ভেঙে,
শ্লোগান ধরি আমার ভাত ও ভোটের জন্য মিছিল করি।
Leave a Reply