প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ১৩, ২০২৫, ৭:৫৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ৭, ২০২৫, ৬:৪৭ অপরাহ্ণ
মনিরামপুরে মৃত্যুর প্রায় আড়াই মাস পর কবর থেকে লাশ উত্তোলন ছেলের বিরুদ্ধে পিতাকে হত্যার অভিযোগ, নেপথ্যে জমি নিয়ে বিরোধ

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি ঃমৃত্যুর আড়াই মাস পর হত্যা মামলায় মনিরামপুরের নেহালপুর ইউনিয়নে অধিকতর তদন্তের স্বার্থে নিহতের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। রোববার সকালে আদালতের নির্দেশে উপজেলার ১৬ নং নেহালপুর ইউনিয়নের নেহালপুর গ্রামের মৃত মজিদ দফাদার (৬৫) এর লাশ মনিরামপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমানের উপস্থিতিতে উত্তোলন করে পুলিশ। মৃত মজিদ দফাদার এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন। অভিযোগ ওঠে, তারই পুত্র নেহালপুর ইউপি সদস্য সোহরাব দফাদার (৩৮) এর নির্যাতনের শিকার হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। স্থানীয়রা মৃত্যু পরবর্তী সময়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষতের চিহ্ন দেখতে পায়। এই ঘটনায় নিহতের জামাই মনোহরপুর ইউনিয়নের খাকুন্দি গ্রামের সাত্তার মোল্যা বাদী হয়ে সোহরাবের বিরুদ্ধে আমলী আদালতে ২৯ অক্টোবর ৩০২ ধারায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- সিআর ১১২৪/২৫। ওই মামলাটি জুডিশিয়াল আদালতের নির্দেশে মনিরামপুর থানায় ০৪ নভেম্বর রেকর্ড হয়। থানায় মামলা রেকর্ডের পরেই নেহালপুর পুলিশ ক্যাম্প অভিযুক্ত সোহরাবকে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। পরবর্তীতে ০৩ ডিসেম্বর যশোর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আশেক হাসান স্বাক্ষরিত আদেশে মৃত মজিদ দফাদারের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের নিমিত্তে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৭৬ (২) ধারা অনুযায়ী লাশ কবর থেকে উত্তোলনের জন্য মনিরামপুরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। সেমোতাবেক নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে নেহালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই রেজাউল হক ও এএসআই শাহাজাহান বিশ্বাসকে সাথে নিয়ে লাশ উত্তোলন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ ব্যাপারে এসআই রেজাউল হক জানান, লাশ উত্তোলনের পর ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আড়াই মাস পর আবারও ছেলের বিরুদ্ধে পিতাকে হত্যার অভিযোগে এলাকাবাসী মধ্যে তীব্র গুঞ্জন চলছে।
Copyright © 2025 Pratidin Bangladesh. All rights reserved.