
বিশেষ প্রতিনিধি: ক্যান্সার চিকিৎসায় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিন্ত করতে যেভাবে খাবার খাওয়া উচিত।
ক্যান্সার ও ক্যান্সার চিকিৎসা যেমন কেমোথেরাপি,রেডিওশন থেরাপি, স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্ট ইত্যাদিতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল করে দিতে পারে যা শরীরকে খাদ্যের বিষক্রিয়ার জন্য আরও সংবেদনশীল করে তোলে।
আসুন জেনে নেয়া যাক খাদ্যে বিষয়ক্রিয়ার ঝুঁকি কমাতে ক্যান্সার রোগীদের কী ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
১।অপরিষ্কার এলাকায় সংরক্ষণ করা বা বিক্রি করা খাবার কেনবেন না।
২।থেঁতলে যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত্রস্থ ফল বা সবজি খাবেন না।
৩।সাবধানে খাবার প্রস্তুত করবেন যেমন সমস্ত তাজা ফল ও শাকসবজি চলমান পানিতে ধুয়ে পরিস্কার তোয়ালে দিয়ে শুকিয়ে নিবেন।
৪।যতটা সম্ভব তাজা ও টাটকা ফল ও শাকসবজি খাবেন।
৫।খাবার তৈরি করার সময় গরম পানি ও সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ডের জন্য হাত ধুয়ে ফেলুন।আঙ্গুলের মধ্যে নখের নীচের অংশে বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।
৬।গরম পানি ও সাবান দিয়ে বাসন পরিস্কার করতে হবে এবং রান্নাঘর জীবানু মুক্ত রাখতে হবে।
৭। কাঁচা ও রান্না করা খাবার আলাদা রাখতে হবে ফ্রিজে। প্রয়োজনে কাঁচা মাংস ও হাঁস, মুরগি ধুইবেন না। কারন এটির আশেপাশের স্থানে ব্যাকটেরিয়া ছড়াতে পারে।
৮।খাবার কাটার আগে কাটিং বোর্ড এবং প্লেট এবং কাঁচা খাবার প্রস্তুত করতে সমস্ত পাত্রগুলি ধুয়ে ফেলতে হবে।
৯।বাসি খাবার খাবেন না।এমনকি যদি খাবারের গন্ধ বা নষ্ট নাও হয় তাও নিরাপদ নাও হতে পারে আপনার।কারন ফ্রিজে রাখা খাবারে কিছু ব্যাকটেরিয়া, লিস্টেরিয়ার মতো ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পেতে পারে।যদি সেগুলি আবার খুব বেশিক্ষণ ফ্রিজে রাখা হয়।
১০।রেস্তোরায়, বুফে সালাদ এড়িয়ে চলুন। কারন এখানে খাবার দীর্ঘ সময় ধরে রাখা হয় এবং অনেক লোকের সংস্পর্শে থাকে।
১১।সঠিক তাপমাত্রায় খাবার রান্না করুন।রান্না বা কেনার ২ ঘন্টার মধ্যে খাবার ফ্রিজে রাখুন।রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষিত খাবার ৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৪ ডিগ্রি এর নীচে রাখতে হবে।
১২।ফ্রিজে রাখার খাবার ঘরে তাপমাত্রায় ধীরে ধীরে নিয়ে আসার পর রান্না করুন।
১৩।কাচা স্প্রাউট বা কম রান্না মাংস, মুরগি খাবেন না।এছাড়া কাঁচা দুধ,কাঁচা দই,কাঁচা ডিম, পাস্তুরিত ডিম দিয়ে তৈরিকৃত খাবার থেকে সাবধান থাকবেন।
১৪।উচ্চ পারদযুক্ত মাছ খাবার না।
১৫।বানিজ্যিকভাবে হিমায়িত মাছ যেমন সুশি,সাশিমি সেগুলো এড়িয়ে চলা ভালো।
১৬।পানি থেকে সাবধান। বিশেষ করে কূপের পানি থেকে, এতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া বা রাসায়নিক থাকতে পারে।
১৭।সব সময় হাইড্রেট থাকার জন্য প্রচুর পানি পান করুন।বাইরের প্যাকেজিং খাবারের লেবেল দেখে নিয়ে খাবেন।রেস্টুরেন্ট বা পাবলিক প্লেসে খাবার থেকে এড়িয়ে চলুন।
১৮।সর্বোপরি যদি কখনও খাদ্যজনিত অসুস্থতা লক্ষন দেখা দেয় যেমন ডায়রিয়া,জ্বর, মাথাঘোরা, ব্যাথা,পেশী ব্যাথা তাহলে দেরি করবেন না।দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। কারন দূষিত খাবার খাওয়ার কয়েক ঘন্টা থেকে ১০ দিনের মধ্যে হতে পারে, লক্ষ্য রাখুন।
পুষ্টিবিদ লিনা আকতার
রাইয়ান হেলথ কেয়ার হসপিটাল এন্ড রিসার্চ সেন্টার, দিনাজপুর।
Leave a Reply